মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু এ বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম চলে দিনভর।
মঙ্গলবার বিশেষ কর্মসূচীর বাইরে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচীতে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৯ জন মানুষ।
মঙ্গলবার সব মিলিয়ে দেশে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ টিকার প্রয়োগ হয়েছে, বাংলাদেশে একদিনে করোনাভাইরাসের টিকাদানের এটাই রেকর্ড।
এর আগে গত ৮ অগাস্ট কোভিড মহামারী প্রতিরোধে শুরু হওয়া গণটিকা কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের ৫৯ জেলায় টিকা নিয়েছিলেন ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ জন।
সারাদিনের টিকাদানের তথ্য একত্রিত করে মধ্যরাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিশেষ টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে তিন কোটি ১৫ লাখ ৬ হাজার ১৭ জন করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫০১ জন নারী এবং ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৬২২ জন পুরুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।
এদের মধ্যে প্রথম ডোজ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গায় সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছে, ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮২ ডোজ।
এছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৯ হাজার ১১১, ফাইজারের ১১ হাজার ২৮৭ ও মডার্নার ৪ হাজার ৯৪৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবারের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় দেশে ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত কেন্দ্রে একযোগে টিকা দেওয়া চলে।
প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি বুথ, পৌরসভায় একটি এবং সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথ ছিল।
ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি কেন্দ্রে দেড় হাজার, পৌরসভার কেন্দ্রে ৫০০ এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোয় এক হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।