বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাপের বাড়ি বিশ্রামে এসেও গর্ভের সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি গৃহবধূ সোনিয়া বেগম।
সোনিয়ার ছোট ভাই মো. সজীব ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের দ্বন্দ্বের জেরে গত ২০ মার্চ রাতে খাদিজার বাপের বাড়ির লোকজনের হামলার শিকার হন সোনিয়া। এতে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
রোববার (২৭ মার্চ) তাদের বাড়িতে গেলে অসুস্থ সোনিয়াকে বিছানায় কাতরাতে দেখা যায়। তার বাবা-মা জানায়, বাটাম দিয়ে পেটানো হয়েছে সোনিয়াকে। তার শরীরে এখনও আঘাতের অনেক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
সোনিয়া নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মকিমপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুস সালামের মেয়ে। সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্বামী ফারুক এখন তাকে মেনে নিচ্ছেন না।
জানা যায়, সজীবের স্ত্রী খাদিজা শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে পৃথক থাকতে চান। কিন্তু সজীব মানবিক কারণে তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে পৃথক রাখতে চান না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে খাদিজা তার বাবা খাজা মিয়াকে খবর দেন। খাদিজার বাবা, ভাই ও মামারা ওইদিন (রোববার ২০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সজীবের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তারা সজীবের বাপ-মা ও বোন সোনিয়াকে বেদম প্রহার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় সোনিয়াকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, তলপেটে আঘাতের কারণে সোনিয়ার তিন মাসের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেছে। সুস্থ হতে তার দীর্ঘ চিকিৎসা ও বিশ্রাম দরকার।
সজীব জানায়, তার মামাশ্বশুর জাকের আলী মাস্টার, জিয়াউর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলমরা মকিমপুর এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা ভয়ে তাদের সহযোগিতা করতে আসেনি।
রোববার (২৭ মার্চ) সজীবের বাড়িতে গেলে অসুস্থ সোনিয়া বিছানায় কাতরাতে দেখা যায়। তার বাবা-মা জানায়, বাটাম দিয়ে পেটানো হয়েছে সোনিয়াকে। তার শরীরে এখনও আঘাতের অনেক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
জাকির মাস্টারের বাড়িতে গেলে তিনি বলেন, ধস্তধস্তির সময় হয়তো সোনিয়ার গায়ে আঘাত লাগতে পারে। তবে তার সন্তান নষ্ট হওয়ার মতো কিছু করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে তারা মীমাংসা করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ইউএনও অফিসের নারী সহায়তা কেন্দ্রে সোনিয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে নারী উদ্যোক্তা বেলী খাতুন নিশ্চিত করেছেন।
এখন এলাকাবাসীর দাবি, সোনীয়া যেন ন্যায়বিচার পায়।
এদিকে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।