1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গাইবান্ধায় চতুর্থ শ্রেনীর ছা‌ত্রের হার্টে ছিদ্র, টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা দাগনভূঞাতে শিশু শিক্ষার্থীর গর্ভে যে আরেক শিশু অনাগত প্রিয় পাঠক যদি অপরাধের প্রতিবাদ করতে না পারেন,তবে ঘৃনা করুন———। গৌরনদীতে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের অধীকার ও জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত সুস্থ জাতি গড়তে খেলাধুলা অন্যতম মাধ্যম : আমিনুল হক সরকারের সহায়তায় নতুন দল গঠন করলে জনগণ মেনে নিবে না : মির্জা ফখরুল রমজানের হাফেজ নিয়োগ নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ সমাজের সার্বিক অগ্রগতির জন্য জরুরি —— বেনজির টিটো ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা নর্থ ও সাউথ জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) উপ-পরিচালকের মতবিনিময় দাউদকান্দিতে গোল্ডেন ফিউচার একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন

সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি: প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সে একযোগে দেশের ৪৯২ উপজেলায় ছিন্নমূল মানুষকে ভূমি ও গৃহদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বারবার আমার বাবার কথা মনে পড়ছে। তিনি শুধু ভাবতেন, কীভাবে দেশের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পাবে। কীভাবে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। জাতির পিতার পথ ধরে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি। এটা দেখে নিশ্চয়ই জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে- এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন।’ জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে দেশের প্রতিটি নাগরিকের বাসস্থান পাওয়ার অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। কুষ্ঠরোগী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চা শ্রমিক, ছিন্নমূলসহ সমাজের প্রতিটি অবহেলিত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। এটা জাতির পিতার আদর্শের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরও দায়িত্ব।

শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে আট লাখের ওপর মানুষ পেয়েছি, যারা ছিন্নমূল। আমরা প্রতিটি মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেবো। শুধু খাসজমি নয়, জমি কিনেও ঘর করে দিচ্ছি বিনামূল্যে। জানি না পৃথিবীর কেউ এ উদ্যোগ নিয়েছে কি না। আমি জাতির পিতার আদর্শের কর্মী, শুধু তার কন্যা নয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নিশ্চিত করবো।

তিনি বলেন, সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এ বাংলাদেশ যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। ‍উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলছিলেন, তার চলার পথ বাধাগ্রস্ত করতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে তাকে তো সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা কিন্তু খুনি দুষ্কৃতকারীদের মুখে ছাই দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। আমি জানি, দুঃখী মানুষের মুখের এ হাসি দেখে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। আপনারা দোয়া করবেন, এ দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, তাদের মুখে হাসি ফোটাবেন। এটাই একজন রাজনীতিকের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া। টাকা-পয়সা কোনো কাজে আসবে না। করোনায় তো প্রমাণ পেয়েছেন। ধন, সম্পদ, অর্থ কিছু না। সম্পদের পেছনে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানিত করার অর্থ হয় না। বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে সেটা বড় পাওয়া।

তিনি বলেন, আমরা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। বাংলাদেশের মতো দেশ, যেখানে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, যেখানে অনেক বড় দেশ কল্পনাও করতে পারে না, আমরা কিন্তু করেছি। করোনার টিকা থেকে শুরু করে সবকিছু। করোনার টিকা কেনার টাকা হিসাব করলে হবে না। এটা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কত হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমরা কিন্তু বিনা পয়সায় দিয়েছি। অনেক উন্নত দেশ এটা দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো। কারও কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়। আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে আমরা চলবো।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা এবং সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৪৯২ উপজেলায় একযোগে যুক্ত ছিল এ অনুষ্ঠানে। ভিডিও কনফারেন্সে চারটি উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

সেগুলো হলো- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া বালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, বরগুনা সদরের খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ সদরের খোকশাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প।

এদিন সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪ পরিবারকে একটি সেমিপাকা ঘরসহ দুই শতক জমির দলিল হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com