ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর বানিয়াজান গ্রামে।
জানা যায়, চাচা মিজানুর রহমান এক সন্তানের জনক। ওই গৃহবধূরও রয়েছে ৬ বছরের এক ছেলে সন্তান। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচার ঝড় বইছে।
পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূকে রেখে তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করে। বিয়ে করেছেন প্রায় ৭-৮ বছর আগে। মিজান এর আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। পরকীয়ার ঘটনা প্রথম স্ত্রী জেনে গেলে তিনি চলে যান।
আবার দ্বিতীয় বিয়ে করলে সে বউও চলে যায় এই পরকীয়ার কারণে।
এদিকে ওই গৃহবধূর মা-বাবা কেও বিষয়গুলো জানানো হয় স্বামীর পরিবার থেকে। গত সোমবার রাতে দুইজনকেই আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পরিবার। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিজান গৃহবধূকে বিয়ে করতে ঘটনাস্থলে কাজী ডাকেন।
কাজী বিয়ে পড়াতে অসম্মতি জানিয়ে চলে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে খামার ফেলে গত বুধবার সকালে মিজান ওই গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় কাজী মুকুল হোসেন বলেন, ‘ওই রাতের ঘটনাতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দেখে চলে এসেছি।’
এ বিষয়ে চাচা মিজানুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ফটিক বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি। এলাকাতে খুবই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।