বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : তরুণী সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছেন। কলেজ জীবন থেকে গড়ে ওঠা সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই শেষ হয়েছে। তাই তিনি পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন।
নিজের কষ্টগুলো না পারছিলেন সহ্য করতে, না পারছিলেন কাউকে শেয়ার করতে। তাই নিজের কষ্ট অন্যের ওপরে ছড়িয়ে দিতেই ইনস্টাগ্রামের ফেক আইডি বানান। আর সেই ফেক আইডি দিয়েই হয়রানি শুরু করেন। তবে না এই তরুণী কোনো তরুণকে বা তার প্রেমিককে হয়রানি করেননি। বরং আরেক তরুণীকে হয়রানি করছিলেন। দিনের পর দিন ওই আইডি থেকে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আসছিলেন ভুক্তভোগী তরুণী।
ফেক আইডি হওয়াতে কাউকে শনাক্ত করতে পারছিলেন না। মাত্রাতিরিক্ত হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওই তরুণী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হন।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্তে নামে। প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত কর্মকর্তারা ফেক আইডিকে শনাক্ত করে। তারপর আরো গভীর তদন্ত করে আইডির মালিককে খুঁজে বের করে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইডি’র মালিক শনাক্ত করার পর তারা রীতিমতো অবাক হয়ে যান। কারণ ওই ফেক আইডিটি চালাচ্ছিলেন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেয়া এক তরুণী। আর তিনি যে তরুণীকে যৌন হয়রানি করছিলেন ওই তরুণী তার সাবেক প্রেমিকের বন্ধুর সাবেক প্রেমিকা।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, ফেক আইডি দিয়ে অপকর্ম করা যাবে না। কারণ অভিযুক্তের ফুটপ্রিন্টই তাকে খুঁজে বের করবে। অনেক টিনএজারই মানসিক চাপে থেকে নানাভাবে সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের এই বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় ফেক আইডি চালানো এই অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।