বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : নেপাল থেকে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। বর্ণাঢ্য আয়োজনের অংশ হিসেবে ফুটবলারদের সাদরে বরণ করার জন্য নানা আয়োজন ছিল বিমানবন্দরে। সেখানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উৎসর্গ করেছেন দেশের সকল মানুষকে।
বুধবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশের মেয়েদের বহনকারী বিমান। তাদেরকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ক্রীড়া ও যুব প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরার উদযাপনের শুরুতেই মহাসমারোহে কেক কাটেন সাবিনা। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয় মেয়েদের।
প্রথমবারের মতো জেতা সাফের শিরোপাকে দেশের সকল মানুষের অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাবিনা, আমাদেরকে এত সুন্দরভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এখানে আমাদের মন্ত্রী মহোদয় আছেন, ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আছেন তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের মেয়েদের, বাংলাদেশের ফুটবলকে আপনারা যে এত ভালোবাসেন, সেজন্য আমরা অনেক অনেক অনেক গর্বিত। সকলকে ধন্যবাদ। সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এই ট্রফি বাংলাদেশের ১৬ কোটি বলুন, ১৮ কোটি বলুন বা ২০ কোটি বলুন, এই সকল মানুষের।
আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা সাবিনা দিয়েছেন আরও এগিয়ে যাওয়ার বার্তা, আমরা একটা ভালো ফল করে এসেছি। আমাদের এখন চিন্তা হচ্ছে সামনের দিকে কীভাবে আরও এগিয়ে যাওয়া যায়।
মেয়েদের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ২৮ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড, অবশ্যই, সবচেয়ে বড় যে প্রাপ্য সেটা আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চেয়ারম্যান কাজী সালাহউদ্দিন স্যারের। উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান কিরণ আপাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রী মহোদয়গণ সহযোগিতা করেছেন। ২০১২ সাল থেকে মেয়েদের ফুটবল ভালোভাবে চলছে এবং গত চার-পাঁচ বছরের যদি সাফল্য দেখেন, মেয়েদের পরিশ্রম দেখেন, সেটারই ফল আমরা পেয়েছি। আমরা আসলে কৃতজ্ঞ সবার প্রতি।
জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের মতে, এই সফলতা এক দশকের ধারাবাহিক পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার সুমিষ্ট ফল, প্রথমে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আজকের এই রাজসিক আয়োজনের জন্য। আমাদের মাননীয় সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও ফুটবল ফেডারেশনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের এই পথচলা আসলে অনেক দিনের। ২০১২ সালে প্রথমে আমাদের পরিবর্তনটা শুরু হয়েছিল। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এই সফলতা।