বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :বগুড়ার শেরপুরে ওয়ারেন্টমুলে আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে থানা পুলিশের উপ-সহকারি পুলিশ পরিদর্শ(এএসআই) মুকিম উজজামান(নিরস্ত্র) ও হাবিবুর রহমান। ঘটনাটি ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার খানপুর গ্রামে ঘটেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে দুই এসআইকে উদ্ধার ও সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে থানায় আনে। পরে আহত পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই)দ্বয়কে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক ২৩ নভেম্বর বুধবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) লাল মিয়া। গ্রেফতারকৃত হলো, খানপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আহম্মদ আলী(৬০), মোঃ মোহর আলী (৫৮), মোহাম্মদ আলী (৫০), আহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ বুলি খাতুন (৩৮), মেয়ে মোছাঃ আকলিমা খাতুন (১৯), মোহাম্মাদ্দ আলীর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২০)। তবে মোঃ মোহর আলীর ছেলে মোঃ আব্দুর রশিদ (২৮) পলাতক রয়েছে।থানা সুত্রে জানা যায়, শেরপুর থানা পুলিশের উপ-সহকারি পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই) মুকিম উজ্জামান ও হাবিবুর রহমান ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ১০ ধারা সংক্রান্তে গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে আসামী মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আহাম্মদ আলী (৬০) কে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোঃ মোহর আলী, মোহাম্মদ আলী, মোঃ আব্দুর রশিদ, মোছাঃ বুলি খাতুন, মোছাঃ আকলিমা খাতুন, রেজাউলসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন আসামী হাতে লাঠি সোটা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে মারপিট করে গ্রেফতারকৃত আসামী আহাম্মদ আলীকে ছিনাইয়া নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে দায়িত্বরত পুলিশদ্বয় গুরুতর ও রক্তাক্ত জখম হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মহির উদ্দিনসহ কয়েকজন ও থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) আব্দুস সালামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত পুলিশকে উদ্ধার করেন। এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ৬জনকে গ্রেফতার করে থানায় আনে। পরে আহত পুলিশ মুকিমউজ্জমান ও হাবিবুর রহমান স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।আহত পুলিশের এএসআই হাবিবর রহমান বলেন, আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে খানপুর গ্রামে আসামী মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আহাম্মদ আলী (৬০) কে গ্রেফতার করতে চাইলে তিনি প্রথমে জামিনে আছেন মর্মে জানান। তবে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টাকালে পরিবারের মহিলা সদস্যরা আমাদের হ্যান্ডকাপ ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং চিৎকার দিয়ে কয়েকজন মিলে হামলা চালায় এবং আহত করে।এ ঘটনায় থানা পুলিশের উপ-সহকারি পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই) মুকিম উজ্জামান বাদি হয়ে ৭জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।এ ব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) লাল মিয়া বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও পুলিশের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা গ্রহনপূর্বক তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।