বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : ঘটনাটি বগুড়ার শেরপুর শহরের শ্রীরামপুর পাড়া এলাকায়।স্বামীর সম্পর্কে প্রতিবেশি ভাই। এরইসূত্র ধরে মুঠোফোন ও ইমুর মাধ্যমে কথা হয়। একপর্যায়ে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক, অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে ভাড়া বাসায় এনে জোরপূর্বক প্রেমিকা (২৭)কে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিক।
পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে মঙ্গলবার (২০ডিসেম্বর) দুপুরে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তের নাম আলামিন হোসেন (৩০)। তিনি উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উত্তর পেঁচুল গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ফরিদের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশকিছুদিন ধরেই পৌর শহরের শ্রীরামপুর পাড়াস্থ একই বাসায় ভাড়া থাকেন অভিযুক্ত আলামিন হোসেন এবং ওই গৃহবধূর পরিবার। এছাড়া ব্যবসায়িক কারণেও আলামিন তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। সেইসূত্রে প্রায়ই মুঠোফোন ও ইমুর মাধ্যমে ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা হয়। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তাকে বিয়েসহ নানা প্রলোভন দেন আলামিন। বিয়ের কথা বলে বিগত (০৯ডিসেম্বর) দুপুরে বাসায় ডেকে এনে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়। এর আগে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর ওই গৃহবধূকে তালাক দেন তার স্বামী।
এদিকে প্রেমিক আলামিনও বিয়ে করতে তালাবাহানা শুরু করেন। এমনকি অস্বীকৃতি জানান। শেষপর্যন্ত কোনো উপায় অন্ত না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আলামিন পলাতক থাকায় ধরা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবারই বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।