বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : এক ইনিংস শেষ হয়েছিল পুরোটাই। মুশফিকুর রহিমের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। আইরিশদের সামনে তাই লক্ষ্য ছিল ৩৫০ রানের। শক্তিমত্তা বিবেচনায় যা বলতে গেলে প্রায় অসম্ভবই হতো সফরকারীদের জন্য।
তবে আইরিশদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বৃষ্টি। বাংলাদেশ ইনিংস শেষ হওয়ার পর মুষলধারে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সেটি না থামায় অবশেষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা।
এর আগে সোমবার টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডকে দেয় ৩৫০ রানের বিশাল লক্ষ্য। মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম (৬০ বলে) সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ পৌঁছায় রানের চূড়ায়।
আগের ম্যাচে ৩৩৮ রান তুলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। সেই রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগল মোটে ৪৮ ঘণ্টা। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তোলে ৩৪৯ রান।
৬০ বলে ১৪ চার ও ২টি ছয়ে মুশফিক পৌঁছান তিন অঙ্কে। ওয়ানডেতে আগের রেকর্ডটি সাকিব আল হাসানের দখলে ছিল। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার।
রেকর্ড ভাঙা-গড়ার ম্যাচে বেশ কয়েকটি মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তামিম ইকবাল তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজার রানে পৌঁছান, ওয়ানডেতে মুশফিক ৭ হাজার ও লিটন দাস পৌঁছান ২ হাজার রানের ক্লাবে।
দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছোঁয়ার পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মুশফিক। চারের পসরা সাজিয়ে আইরিশ বোলারদের হতাশায় ডোবান। টি-টুয়েন্টি ধাচের ব্যাটিং করেন তিনি।
বড় সংগ্রহের পথে লিটন দাস ৭০, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৩, তৌহিদ হৃদয় ৪৯ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখেন।