এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে সেতু পারাপারে মাওয়া টোল প্লাজা থেকে অভিমুখের সড়কজুড়ে রয়েছে হাজারো মোটরসাইকেলের উপস্থিতি। গভীর রাত থেকে সেতুতে পারাপারের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে টোলপ্লাজার অভিমুখের সড়কে অবস্থান নেয় মোটরসাইকেল আরোহীরা। দীর্ঘদিন পর সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে তারা। এসময় একে অন্যকে নিয়ম মানার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার চিত্র দেখা যায়।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টোলপ্লাজায় পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার চিত্র দেখা যায়নি।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। এজন্য চালকদের কিছু শর্ত বেঁধে দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত টোল দিয়ে মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। এর জন্য নির্ধারিত টোলবুথ ও নির্ধারিত লেন ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত লেন পরিবর্তন করা যাবে না। ওভারটেকও করা যাবে না। চালক ও আরোহীকে হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সেতুর ওপর দাঁড়ানো বা ছবি তোলা যাবে না। চালকসহ সর্বোচ্চ দু’জন মোটরসাইকেলে চড়তে পারবেন।
বর্ণিত শর্তসমূহ প্রতিপালন করে পদ্মা সেতু ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
শৃংখলা না মানলে মোটরসাইকেল চলাচলের এ সুযোগ বাতিল করা হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।