শনিবার (২৯ জুলাই) দেয়া ওই বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও মিছিলে সহযোগিতা করার পরিবর্তে মিছিলের ওপর হামলা, গণগ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। পুলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, যশোর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, বি-বাড়িয়া, বরগুনা ও ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামীর দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান আসবাবপত্র তছনছ করে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ আজ বিএনপি ঘোষিত গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেয় ও হামলা করে। পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা মারাত্মকভাবে আহত হন। সাবেক এমপি আমান উল্লাহ আমান ও বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর পুলিশের হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। সরকার তার দলীয় বাহিনী ও রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা বিরোধীদলের সভা-সমাবেশ বানচাল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা সরকারের এসব হামলা, জুলুম-নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। গ্রেফতার, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। বাড়াবাড়ি বন্ধ করে আমরা অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভাঙতে হবে। একইসাথে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার এবং আমিরে জামায়াতসহ বিরোধীদলের গ্রেফতার সকল নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।