মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অডিটোরিয়ামের সামনে ‘বুয়েটের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য, ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে সব সাধারণ শিক্ষার্থীর শপথ ও সংবাদ সম্মেলন’ শীর্ষক আয়োজন থেকে এ কথা জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্র আশিকুল ইসলাম বিটুর মতো কুখ্যাত একজন ব্যক্তির সঙ্গে ক্লাস এবং ক্যাম্পাস শেয়ার করতে আমরা কোনোভাবেই রাজি নই। কর্তৃপক্ষকে আজকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না এলে আমরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দ্বিধা করব না।
তারা আরও বলেন, সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীদের যে দৃঢ় অবস্থান তা থেকে আমরা কোনো অবস্থাতেই সরে আসব না। যেকোন ছাত্র-রাজনীতি এবং মৌলবাদ চর্চা বুয়েট ক্যাম্পাসে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, তা সে যে দলেরই হোক না কেন।
ইতোপূর্বে ছাত্রলীগের সেন্ট্রাল কমিটিতে পদপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থীর ব্যাপারেও ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র-রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত কি না বা অন্য কাউকে প্রভাবিত করছে কি না- এ মর্মে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই ইস্যুগুলো নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। এছাড়া অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ (যেমন- BUETian বুয়েটিয়ান) সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্ধৃত করে বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করেছে, যা কোনোভাবেই সাধারণ ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করে না। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে এরূপ অপপ্রচারকারী মিডিয়া বা ব্যক্তিবর্গ দ্বারা বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য।
২০১৯ সাল থেকেই বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ।
তাই কোনো সংগঠনের বুয়েট শাখা বলে কোনো অস্তিত্ব নেই এবং এ ধরনের বক্তব্য মিডিয়াতে আসায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।
এর আগে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শপথ পাঠ করেন। শপথ শেষে তারা জানান, ইতোমধ্যে বুয়েট শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।