বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এই সরকার জোর করে ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে, কথা বললে শোনে না। এদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। ১৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, সরকারের পরিবর্তন হয় না।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশান-১ এ গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে এই গণমিছিলপূর্ব সমাবেশ হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের গ্রেপ্তার করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। আমাদের আর কোনো ভয় নেই। দেশের মানুষ গুম-হত্যাকে ভয় পায় না। মানুষ মরতে ভয় পায় না।’ বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে আমরা সমবেত হয়েছি সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য। লাল পতাকা দেখালে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিনা ভোটের সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে দেশের মানুষ অতীষ্ঠ। তারা এই সরকারের পদত্যাগ চায়।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কোষাধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান মিল্লাত, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ঢাকা মহানগর বিএনপির এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, হাজী মোস্তফা জামান, বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা, ঢাকা ১৪ আসনের দারুসসালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজু, এবিএম এ রাজ্জাক।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলন, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগরের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদুল, মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন থানার নেতাদের মধ্যে তুরাগ থানা বিএনপির আমান উল্লাহ ভূঁইয়া, মিরপুর থানা বিএনপির হাজী আব্দুল মতিন, হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, আবুল বাশার ভূঁইয়া, দারুসসালাম থানার আরিফ মৃধা, শাহআলী থানার সোলায়মান দেওয়ান, মোহাম্মদপুর থানার শুকুর মাহমুদ, এম এস আহমাদ আলী, আদাবর থানার মনোয়ার হাসান জীবন, কাফরুল থানার আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, দক্ষিণখান থানার মোতালেব হোসেন রতনসহ বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মিছিলটি তিতুমীর কলেজের সামনে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়।