আলিপুর আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলায় নুসরাত জাহান ছাড়াও আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আলিপুরের জেলা ও দায়রা জজ মামলাটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘কলকাতা মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকাচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি আবাসন প্রকল্প সংস্থার পরিচালক ছিলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত জাহান। তার সুনামকে সম্পদ করে এই সংস্থা মাঠে নামে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের একটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে।
এ লক্ষ্যে নুসরাত জাহানরা ৪২৯ জন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মজীবীদের কাছ থকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার রুপি করে অগ্রিম অর্থ নেন। অর্থের পরিমাণ ২৪ কোটিরও বেশি।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য সূত্র থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা তুলে দেন নুসরাত জাহানের ওই সংস্থায়।
কথা ছিল তিন বছরের মধ্যে সবাইকে তিন রুমের একটি করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এখনও সেই ফ্ল্যাট পাননি।
প্রসঙ্গত ৩১ জুলাই অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ করা হয় ইডির কাছে।
আলিপুর কোর্টেও এ নিয়ে মামলা করা হয়েছিল। তবে তারা এখনো ফ্ল্যাট কিংবা টাকা কোনোটিই পাননি। ওই মামলায় আলিপুর আদালতের পক্ষ থেকে একাধিকবার তলব করা হয় নুসরাতকে।
তবে নুসরাতের দাবি, বাড়ি কিনতে সংস্থা থেকে এক কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ব্যাংকের লেনদেনে কোনো অস্বচ্ছতা নেই।