বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: নির্বাসনের ১৫ বছর পর আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থাইল্যান্ড ফিরছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।
ওই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই ভোটের মধ্যদিয়ে দেশটির রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার কন্যা পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্র এই কথা জানিয়েছেন।
২০০৬ সালের এক সামরিক অভ্যুত্থানে ৭৪ বছর বয়সী এই ধনকুবের ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তিনি ১৫ বছর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে ছিলেন।
থাকসিন অনেক দিন ধরে বলে আসছেন যে তিনি দেশে ফিরতে চান। তবে তার বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি মামলা রয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার মেয়ে পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্র বলেন, ‘২২ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আমি আমার বাবা থাকসিনকে ডন মুয়াং বিমানবন্দরে গ্রহণ করবো।’ থাকসিনের এ মেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পিউ থাই দলের প্রার্থীদের একজন।
তিনি এমন সময়ে থাইল্যান্ডে ফিরছেন যেদিন বিকেলে পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভোট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকসিনের পিউ থাই পার্টির স্রেথা থাভিসিনকে অনুমোদন দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে এ ভোট হতে যাচ্ছে। এই ভোটের মধ্যদিয়ে দেশটির সাধারণ নির্বাচনের পর সৃষ্ট তিন মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মে মাসে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
স্রেথার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষে ৫শ’ জন নির্বাচিত এমপি’র এবং সিনিটের ২৫০ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। আর সিনেট সদস্যরা সর্বশেষ জান্তা সরকারের দ্বারা নির্বাচিত হন।
থাইল্যান্ডের গত নির্বাচনে প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) পার্লামেন্টের সর্বাধিক আসনে বিজয়ী হলেও সামরিক প্রাধান্য বিশিষ্ট সিনেট এ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা দেয়। ওই নির্বাচনে থাকসিন সমর্থিত পিউ থাই দল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং তারাও সরকার গঠনের চেষ্টা করছে। সূত্র : রয়টার্স