ঠাণ্ডা মাথার খুনি বললেও কম হয়! ধীরস্থির মেজাজে রানের খাতা বড় করেছেন। এরপর সুযোগ বুঝে দেখে-শুনে বল পাঠিয়েছেন সীমানার বাইরে। কে বলবে ৮ মাস পরে জাতীয় দলের একাদশে ফিরেছেন কেইন উইলিয়ামসন! অবশ্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে একটি অর্ধশতক ও ৩৭ রানের ইনিংস তার সুখকর প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। এরপর অপরাজিত ৭৮ রান করে বাংলাদেশকে একেবারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক।
হতাশার হলেও সত্যি, চলমান বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান। এর সঙ্গে চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের অতীত পরিসংখ্যানও কিছুটা আশা জাগাচ্ছিল সাকিব আল হাসানদের। কারণ এই ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করা দলের গড় রান যে ২২৪, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের গড় সংগ্রহ ২০৬। যদিও সেই সমীকরণ আর বাংলাদেশের জন্য খাটেনি।
ম্যাচজুড়ে কয়েকটা উইকেটের সুযোগ দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তার ভেতর দুয়েকটা ছিল কঠিন, এরপর ক্যাচ-রানআউট মিলিয়ে সহজ সুযোগও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। অথচ মাত্র ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারানো কিউইরা বড় বিপদে পড়তে পারত। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার উইলিয়ামসনের পর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলরা পথ হারাতে দেয়নি কিউইদের। আহত হয়ে ৭৮ রানে যখন উইলিয়ামসন ফিরছিলেন, তখন তাদের জয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি কেবল। তার আগে কনওয়ের সঙ্গে ৮০ এবং মিচেলের সঙ্গে তিনি ১০৮ রানের দুটি জয়ের ভিত গড়া জুটি গড়েন।