1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হাতিয়া ব্লাড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৎ দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিতে নবীনদের এগিয়ে আসতে হবে——— মাওঃ আবুল কালাম আজাদ ঐক্যমতের ভিত্তিতে বর্তমান সরকারের সংষ্কার সুপারিশগুলো নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে : ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল  ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য মিয়ানমারে গিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ চিহ্নিত চোর ডাকাতের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ করেছে অতিষ্ঠ জনতা নেতাকর্মীদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানের মানবিক উদ্যোগ: ঈদ উপহার পেল ১২ হাজার পরিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন সুন্দরবনের বন কর্মীদের ঈদ কাটছে বন-বাদাড়ে

ওবায়দুল কাদেরের মুখে ‘তলে তলে’ কথা শোভা পায় না: কাদের সিদ্দিকী

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১০১ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিক দালালে ঘেরা। অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। ভারতের ৫ জন প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। সবসময় দেখা করতে পারতাম। আজ আমার বোন প্রধানমন্ত্রী অনেক ঘেরা। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, নৌকা পাইলে খালাস ভাববেন না। নৌকারও বৈঠা লাগবে। নৌকা পাইলে এক লাফে ক্ষমতায় যাবেন না। শেখ হাসিনাকে বলবো- দালালদের নিয়েন না, ঘুষখোরদের নমিনেশন দেবেন না। গায়ের জোর দিয়ে হয় না।

বঙ্গবন্ধু গায়ের জোর দিয়ে স্বাধীনতা আনেননি। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসায় এক হয়েছেন। তাই কথায় সাবধান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তলে তলে’ এসব কথা তার মুখে শোভা পায় না। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসের কৃষক শ্রমিক জনতালীগে যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মতিয়া চৌধুরীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, কর্নেল তাহেরসহ এদের কারণে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে। আমার বোন শেখ হাসিনা তাদের মানতে পারেন কিন্তু আমি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সন্তান হিসেবে একদিনের জন্যও এদেরকে মানতে পারি না।

তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপি হওয়ার জন্য আমি গামছার রাজনীতি করি না। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে, মানুষকে পাহারা দিতে গামছার দল করেছি। তাই হাসানুল হক ইনুরা যেখানে আছে আমি সেখানে মরলেও যাব না। জাসদ ও হাসানুল হক ইনুদের কারণে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে। জাসদ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল তখন। একটা ছিল সশস্ত্র বাহিনী, অন্যটি ছিল রাজনৈতিক জাসদ। আ স ম রবরা রাজনৈতিক অংশে ছিলেন, রাজনীতি করেছেন- তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে প্রথম রাজনৈতিক সন্তান। জাসদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নেতা ছিলেন কর্নেল তাহের, দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন হাসানুল হক ইনু। যে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার পর ট্যাংকে উঠে নেচেছিলেন। আমার বোন শেখ হাসিনা তাকে মানতে পারেন কিন্তু আমি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সন্তান হয়ে একদিনের জন্যও তাকে মানতে পারি না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি যখন মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে বলি কেউ কেউ বলে শেখ হাসিনা অসন্তুষ্ট হতে পারেন। হাসিনা অসন্তুষ্ট হবেন বলে আমি আল্লাহর অসন্তুষ্ট মেনে নেব তা কখনো হবে না। আমি কাউকে ভয় করি না। এসময় তিনি আরও বলেন, আমি এসব বললে শেখ হাসিনা খুশি হন, কারণ না বললে এতোদিনে জাতিসংঘ পর্যন্ত চলে যেতো মতিয়া চৌধুরী। মুন্সিগঞ্জের নূহ ই আলম লেলিনও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিয়েছিলেন পল্টনে। তাই আমি মানতে পারি না। তিনি বলেন, গামছার আদর্শ বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনা রক্তের সন্তান, আমি তার রাজনৈতিক সন্তান।

আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতাকে প্রতিহত হতে দিতে পারি না। তাদের (বিএনপি) হাতে ক্ষমতা দিতে পারি না। শেখ হাসিনাই স্বাধীনতার একমাত্র প্রতীক। আমরা কঠিন সময়ে পুলসেরাত পার হওয়ার মধ্যে আছি। কেউ কেউ পশ্চিমাদের নিয়ে ভাবছে। মনে করছে তারা তাদের ক্ষমতায় বসাবে। না, ভাইয়েরা তারা না, ভোটাররা বসাবে মনে রেখেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তলে তলে’ এসব কথা শোভা পায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা তলে তলে কাজ করবেন এটা হয় না। পরে বলে এটা খায়। যে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ আজকের সাধারণ সম্পাদক যার এতো ত্যাগ অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এমন কথা সাজে? ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের যুগে এটা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা ইলেকশনে যাব। সবাই বঙ্গবন্ধুর লোক আমরা। নৌকার সঙ্গে জোট করলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো কার সঙ্গে। ধানের শীষ নির্বাচনে আসবে না। আসলেও করতে পারবে না। তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সভা। তিনি বলেন, বর্তমানে গান গেয়ে সংসদ নষ্ট করে ফেলেছে। এখানে মানুষের ভাগ্য নিয়ে কথা বলার জায়গা, গান গাওয়ার নয়। ড. কামাল হোসেনকে বঙ্গবন্ধুর পরে নেতা মানতাম। তার জন্য আমি তার কাছে গিয়েছি। তিনি বিএনপির সঙ্গে জোটে গেছেন। আমি ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছি, কারণ সবাই এটা নিয়ে অখুশি। নির্বাচন করবো, গামছা নিয়েই করবো।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com