ম্যাচটিকে দেখতে সেখানে ভীড় করছে ক্রিকেট প্রেমীরা। ফাইনাল ম্যাচকে কাজে লাগিয়ে সেখানে হোটেল ভাড়াও বাড়িয়েছে স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।আহমেদাবাদে তিন তারকা ও পাঁচ তারকা মিলে প্রায় ৫ হাজার হোটেল কক্ষ রয়েছে।
পুরো গুজরাট হিসেব করলে সংখ্যাটি ১০ হাজারের কাছাকাছি। সাধারণ হোটেলের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। এখন পর্যন্ত সাধারণ হোটেলের অবস্থা কিছুটা মানানসই হলেও তিন তারকা, চার তারকা বা পাঁচ তারকা হোটেলে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।
আহমেদাবাদের ভিভান্তা হোটেলে দুদিনের জন্য ভাড়া দিতে হচ্ছে প্রায় ৩ লাখ রুপি, ম্যারিয়টের খরচ প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি। হোটেল তাজে দুদিন থাকতে হলে গুনতে হবে প্রায় লাখ রুপি করে। বেশ কিছু হোটেলে সেটির দাম পড়েছে ৪ লাখ রুপির একটু বেশি।
ফাইনালের আগে ৩০-৪০ হাজার মানুষ আহমেদাবাদে আসবেন বলে ধারণা করছেন সেখানক্র হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ফেডারেশনের সভাপতি নরেন্দ্র সোমানি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালের আগ্রহ কেবল ভারতে, বিষয়টি এমন নয়। দুবাই, অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার মতো দেশ থেকে মানুষ এসেও ম্যাচটি দেখতে চায়। আহমেদাবাদে প্রায় ৫ হাজার তিন তারকা এবং পাঁচ তারকা হোটেল আছে। আপনি যদি পুরো গুজরাট হিসেব করেন তাহলে ১০ হাজার হবে। দেখুন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ খেলা দেখতে পারে। আমরা প্রত্যাশা করছি ম্যাচটি দেখার জন্য বাইরে থেকে ৩০-৪০ হাজার মানুষ আসবে।’
‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্স’-এর গুজরাটের চেয়ারম্যান রণধীর সিং বাগেলা শুক্রবার জানান, আহমেদাবাদের হোটেলে এক রাত থাকার খরচ গড়ে ১০ হাজার টাকা। হোম-স্টে ৩৫ হাজার, চারতারা মানের হোটেলের ভাড়া অন্তত ৭০ হাজার।
এর আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে ব্যাপক আকারে বেরে গিয়েছিল আহমেদাবাদের হোটেল ভাড়ায়। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ দেখতে ৫ থেকে ১৫ গুণ পর্যন্ত বেশি ভাড়া দিয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেবার বাধ্য হয়ে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নাম করেও রাত পার করেছেন অনেকেই। রোববারের ফাইনাল ঘিরে আবার ফিরে এসেছে সেই একই চিত্র।