বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সুনামগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সুনামগঞ্জ জেলা সদরে রেললাইন স্থাপনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের কাছে প্রেরিত ডিও লেটারে রেলপথ বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জের পাঁচ সংসদ সদস্যের সাথে একমত পোষণ করেন তিনি।
রেলমন্ত্রীর কাছে প্রেরিত পত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ স্থাপনের বিষয়ে সুনামগঞ্জের পাঁচ সংসদ সদস্যের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের প্রত্যেক জেলায় রেলপথ স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে। এর মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সাবেক সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমে ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ স্থাপনের ঘোষণা দেন তিনি। পরবর্তীতে রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে সিলেট থেকে রেললাইন স্থাপিত হয় জেলার শিল্পনগরী খ্যাত ছাতকের সঙ্গে। এরপর থেকে হাওরের এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ যোগাযোগ স্থাপনের। স্বাধীনতার পর এ দাবিটি জোরালো হয় কিন্তু কোনো সরকারই এতে কর্ণপাত করেনি। অবশেষে ২০১১ সালে এ জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ প্রয়াত জাতীয় নেতা বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত রেলমন্ত্রী হিসাবে দ্বায়িত্ব নিলে এ দাবিটি প্রাণ ফিরে পায়। ২০১২ সালে ছাতক শহরে তাকে দেয়া এক গণ সংবর্ধনায় লাখো মানুষের উপস্থিততে তিনি ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের ঘোষণা দেন।
গত সোমবার সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ যথাক্রমে মুহিবুর রহমান মানিক, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জয়া সেন গুপ্তা ও শামিমা শাহরিয়ার খানম রেলপথমন্ত্রী বরাবর একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।
এমপিরা বলছেন, আগের অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী কাজ না হলে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত রেললাইন টানার যে সুলভ ও সহজ পথটি রয়েছে, সেটি রুদ্ধ হয়ে যাবে। ছাতক থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার লাইন টানলেই রেলের সঙ্গে সহজে যুক্ত হবে সুনামগঞ্জ জেলা সদর। এর বিপরীতে ঘোরানো-পেঁচানো ৫০ কিলোমিটার হাওরের দুর্গম এলাকা দিয়ে নির্মাণ করতে হবে রেললাইন। ফলে নির্মাণ ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।