বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : তিন বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোনো কাঠামো দাঁড় করাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমানোর টার্গেট থাকলেও গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। চলতি বছরেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। তাই গুচ্ছ পরীক্ষার নানা দিক নিয়ে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসিতে) জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। আজকের এই সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করতে সভা ডেকেছে তদারক সংস্থা ইউজিসি। আজ ইউজিসি ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভায় পরীক্ষা কবে আয়োজন করা হবে এবং কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এ ছাড়া যে নতুন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষি গুচ্ছে এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বপ্রন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরকে জিএসটি গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
ইউজিসির সূত্র জানায়, ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতেই মূলত আজকের সভা ডাকা হয়েছে। সভায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছিল সেগুলো সমাধানের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি ৩৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে সভার বিষয়টি জানিয়ে চিঠি পাঠায় ইউজিসি।
এ দিকে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে চিঠি দেয়া হয়েছে তারা হলেন- কৃষি ও জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ৩১ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাওয়া কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুর বপ্রন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) গঠনের মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষার অধীনে আনার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।