মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে, প্রায় তিন বছর আগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এখনও অনার্স প্রথম বর্ষেই রয়েছেন। এ অবস্থায় তাদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীকে অনার্স শেষ করার পূর্বে প্রথম বর্ষের বিষয়গুলোর পরীক্ষায় পাস করতে হবে। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা অথবা ভাইভার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করার চিন্তাভাবনা চলছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, আমরা শর্তসাপেক্ষে প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের অটোপাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেব। তখন অটোপাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের সেসব পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আমরা কয়েকটি বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবছি। এর মধ্যে একটি হলো মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমোশন দেয়া। আরেকটি হলো অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
চলতি (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, করোনার কারণে আমরা স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছি। ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হলেও ভর্তি ফি’র টাকা কলেজে গিয়ে জমা দিতে হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝুঁকির মধ্যে পরার একটা সম্ভাবনা দেখা দেয়। আমরা তাদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাইনা।