1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিগত সরকারের সময়ে ভূমি সেবা ছিল অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় ভূমি সচিব ও রাজউক চেয়ারম্যান ঢাকাস্থ দাউদকান্দি উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মাহবুব হোসেন নিজামের পিতা আর নেই ‘ডোম ইনো’র রিহ্যাব সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন আইনের শাসন নিশ্চিতে বিচার বিভাগ আলাদা করতে হবে: প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা কলকাতার হাসপাতালের এই প্রথম যুদ্ধবিরতির পক্ষে বললেন জেলেনস্কি অভিষেকের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ট্রাম্প আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনকে আসামি করে মামলা সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল

আমি ব্যর্থ হয়েছি: মাশরাফি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশ উত্তাল ছিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে। ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাদের পেটুয়া বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগকে লেলিয়ে দেওয়ার পাশপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ব্যবহার করে।

পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে সারা দেশে কয়েক শত শিক্ষার্থী নিহত হয়। আহত কয়েক হাজার মানুষ। ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারা দেশে ছাত্রদের আন্দোলনে যখন উত্তাল ছিল সেই সময়ে পুরোপুরি নীরব ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। যে কারণে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর জাতীয় দলের সা্বেক এই তারকা ক্রিকেটারের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।

দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যেসব পুরস্কার, ট্রফি এবং স্মারক স্মৃতি হিসিবে ছিল সব পুরো ছাই হয়ে গেছে। তাতেও তার মধ্যে কোনো আফসোস নেই। আফসোস একটাই ছাত্রদের আন্দোলনে পাশে না দাঁড়াতে পেরে।

দেশের একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আন্দোলনের সময় চুপ থাকা প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, এখন আসলে এসব কথার উত্তর বা ব্যাখ্যা দেওয়ার অর্থ নেই। যদি সরাসরি বলি, তাহলে অবশ্যই আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি অনেক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে।

কথা যদি বলতেই হতো তখন… কোটা সংস্করারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দেই (ফেসবুকে)… ততক্ষণে আসলে সবকিছু এত দ্রুত হচ্ছিল… ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে… অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী… সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।

আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, দেখুন, আমি ছোট থেকে ক্রিকেট খেলেছি, একসময় জাতীয় দলে এসেছি, পরে অধিনায়ক হয়েছি। অধিনায়ক থাকার সময় দল যখন হেরেছে বা খারাপ করেছে, সেটার দায় আমাকে নিতে হয়েছি। আমি সবসময়ই নিয়েছি। আপনারা যদি মনে করতে পারেন, ম্যাচ হারলে অধিনায়ক হিসেবে আমি দায় নিয়েছি। কিন্তু রাজনীতির আঙিনা তো ভিন্ন।

রাজনীতির মাঠে আমি আমার দলের অধিনায়ক নই। সহ-অধিনায়ক নই। এমনকি, বড় কেউ নই। মাত্র কয়েক বছর হলো শুরু করেছি রাজনীতি। আমি আমার জায়গা থেকেই চেষ্টা করেছি। যতটুকু সাধ্য ছিল, চেষ্টা করেছি যেন ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারি। কিন্তু সুযোগটা না পেলে তো কিছু করার থাকে না। হয়তো দলের উপদেষ্টামন্ডলিতে থাকলে বা সেরকম কেউ হলে দায়িত্ব পেতাম। তারপরও সাধ্যমতো করেছি, কিন্তু সুযোগটা আমি পাইনি।

তারপরও কাউকে দোষ দেব না। দায় আমারই। বিশেষ করে, মানুষের যে আবেগ-ভালোবাসার জায়গা ছিল, ক্রিকেটার মাশরাফির প্রতি যে দাবি ছিল, সেটা পূরণ করতে পারিনি এবং সেই দায় মাথাপেতেই নিচ্ছি। আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং সেটা আমাকে সেই শুরু থেকেই পোড়াচ্ছে। রাজনীতিবিদ হিসেবে, আমি কিছু করার চেষ্টা করেছি। পারিনি।

প্রত্যাশা ছিল আপনি ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন? দলের বাইরে গিয়ে কিছু করতে হলে আমাকে পদত্যাগ করতে হতো। সেটা যদি করতাম, তাহলে এখন নিশ্চয়ই আমার অনেক প্রশংসা হতো। কিন্তু প্রতিটি সময়ের বাস্তবতা আলাদা থাকে। ওই সময় যদি পদত্যাগ করতাম, তাহলে আরও বড় কিছু হয় কি না, বা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় কি না, এরকম অনেক কিছু ভাবতে হয়েছে। আমি যদি সেই ভাবনাগুলি সব তুলে ধরি, সেটারও পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি থাকবে। কিন্তু সম্ভাব্য পরিণতি বা অনেক দিক ভাবতে হয়েছে আমাকে।

নড়াইলের মানুষের কাছেও আমার দায়বদ্ধতার ব্যাপার ছিল। নড়াইল-২ আসনের মানুষের অনেক আশা আমাকে ঘিরে। তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, নড়াইলকে একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। সেই মানুষগুলোর কাছে কি জবাব দেব? এরকম নানা কিছু ভাবতে হয়েছে।

অনেকেই আমাকে তখন বলেছেন, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিলেও দেশের মানুষ খুশি হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার দায়িত্বটা আরও বেশি। আমি যদি ছাত্রদের কাছে যেতে পারতাম, তাহলে হয়তো এটা সমাধান করা বা কিছু করার সুযোগ থাকত। ছাত্ররা যদি আমার আহবানে সাড়া না দিত বা আমাকে গুরুত্ব না দিত, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু নিজের কাছে অন্তত পরিষ্কার থাকতে পারতাম যে, কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেটা চেষ্টা করেও পারিনি। আগেই বলেছি, ব্যর্থ হয়েছি এবং দায় নিচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com