বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : একদিন আগে যেই উইকেটে ব্যাট হাতে শাসন করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন-রবীন্দ্র জাদেজা। সেই একই উইকেটে থিতু হওয়ার পরও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন নাজমুল হাসান শান্ত, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানরা। উইকেটে খানিকটা সময় নিয়ে থিতু হওয়ার পরও হাল ধরতে পারেননি কেউ। যার ছাপ বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৯ রানে। লজ্জায় পড়েছে ফলোঅনের। প্রথম ইনিংস শেষে ভারত এগিয়ে ২২৭ রানে।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য চেন্নাইয়ের উইকেট ছিল রীতিমতো বধ্যভূমি। যেখানে বল খেলবেন দূরে থাক, বুমরাহ-আকাশ দীপের বোলিংয়ে রীতিমতো চোখে সরষে ফুল দেখেছেন সাদমান-মুমিনুল-মুশফিকরা। শুরু থেকেই বাংলাদেশি ব্যাটারদের চাপে রেখে গতি ও ইনসুং আউটসুংয়ে নাকানিচুবানি খাইয়েছেন বুমরাহ-সিরাজরা। বাংলাদেশি ব্যাটারদের রীতিমতো অসহায় মনে হয়েছে বুমরাহ-আকাশ দীপদের সামনে।
অবস্থা এতই সূচনীয় যে লাঞ্চ বিরতির আগে অল্প কয়েক ওভারের জন্য মাঠে নামলেও তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। তাসের ঘরের মতো ধ্বসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। লাঞ্চের আগেই ২২ রানে ৩ উইকেট নেই। লাঞ্চের পর এসে সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাতে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ৪০ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন সাকিব ও লিটন। এই জুটি পঞ্চম রান পেরোনোর পর ভাঙে জুটি। জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২২ রানে ফেরেন লিটন। খানিক পর ৩২ রানে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশেল চাই ১৭৭ রান। বাংলাদেশের শেষ ভরসার নাম তখন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেইলেন্ডারদের নিয়ে যা করার করতে হবে তাকেই।
সে হিসেবে নিজে উইকেট আকড়ে ধরে রাখলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদরা। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৯ রানে। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ২৭ রানে। জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার ৪ উইকেট। মিরাজ
এর আগে, চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। তবে এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটিংয়ে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে ৩৩৯ রানে দিন শেষে করে ভারত। দ্বিতীয় দিনে ১১৩ রানে অশ্বিন, ৮৬ রানে জাদেজা ফিরলে ৩৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ৫ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন শিকার করেন ৩ উইকেট।