বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : মাত্র আগের দিনই ইউরোপের ক্লাবগুলোর শ্রেষ্টত্ব প্রমাণের পরীক্ষা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এক ব্রাজিলিয়ানের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে হারিয়েছে জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। একদিন পরেও দেখা গেল একই চিত্রনাট্য এবার পালা রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সার। রিয়াল যেমন তাদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হ্যাটট্রিকে হারিয়েছে বুরুশিয়াকে, তেমনি বার্সা তাদের ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে হারাল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বার্সেলোনার অস্থায়ী ঘরের মাঠ এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কম্পানিসে রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। বার্সার হয়ে বাকি গোলটি করেন দলের স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদভস্কি। বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হ্যারি কেইন।
বার্সেলোনার এই চমকপ্রদ জয়ে রাফিনিয়া ছিলেন পুরো ম্যাচের নায়ক। রাফিনিয়ার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকই কাতালানদের এই গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেয়। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে রাফিনিয়া প্রথম গোল করেন। ম্যানুয়েল নয়্যারের সামনে দিয়ে বল জালে জড়িয়ে পুরো স্টেডিয়ামকে আনন্দে ভাসান তিনি।
গোল খাওয়ার পর বায়ার্ন বল দখলে আধিপত্য বিস্তার করলেও ঠিক সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ১০ মিনিটে হ্যারি কেইনের একটি হেড অফসাইডের কারণে বাতিল হয় তবে ১৮ মিনিটে আবার তার ভলিই বায়ার্নকে সমতায় ফেরায়।
সমতায় ফেরার পর অবশ্য বায়ার্নের হাত থেকে বার্সা দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বায়ার্নের সাবেক স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদভস্কি এই ম্যাচেও নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে ৩৬ মিনিটে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন। ফেরান লোপেজের ক্রস থেকে লেওয়ানডস্কির এই গোলটি মূলত বায়ার্নের ডিফেন্সের দুর্বলতা প্রকাশ করে, যেখানে কিম মিন-জায়ে খুব সহজেই বলের নিয়ন্ত্রণ হারান।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার মার্স কাসাডোর ক্রসফিল্ড পাস থেকে চোখ ধাঁধানো এক গোলে নিজের দ্বিতীয় ও বার্সার তৃতীয় গোল করেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়া নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। লামিন ইয়ামালের বাড়ানো দুর্দান্ত এক বল থেকে। একদিন আগে স্বদেশী ভিনিসিয়ুসের মতো রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের শনিবারের এল ক্লাসিকোর উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ম্যাচের শেষে রাফিনিয়া দর্শকদের দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এই জয়ের ফলে বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবিলে শক্ত অবস্থানে চলে এসেছে, অন্যদিকে বায়ার্নের জন্য এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরপর দ্বিতীয় পরাজয়, যা কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির জন্য চাপ বাড়িয়েছে।