1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

কুইক রেন্টাল ছিল হাসিনার লুটের অন্যতম উৎস, গডফাদার তৌফিক

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে হরিলুটের অন্যতম উৎস ছিল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তখন বিনা টেন্ডারে প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে।

আর এ কাজটি করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পিডিবি চেয়ারম্যানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ছিলেন মূল হোতা। আর সিন্ডিকেটের গডফাদার হিসাবে কাজ করেছেন পতিত সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও আহমেদ কায়কাউস।

সরাসরি এই সিন্ডিকেটকে সহায়তা করেছেন পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। এই সিন্ডিকেট বিশেষ আইনে, বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের রেন্টাল-কুইক-রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সুবিধা দেয়।

ওই দায়মুক্তি বিধানের অধীনে ৭২টি রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়। বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় অংশই পেয়েছেন তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে সামিট, ওরিয়ন, দেশ এনার্জি, ডরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড অন্যতম। সে সময় বিনা দরপত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্র পাওয়ার শীর্ষে ছিল সামিট গ্রুপ।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা চুক্তিগুলো দুটি কমিটি পর্যালোচনা করছে। কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা কাজ করব। এ বিষয়ে যথাযথ চিন্তা করেই বিপিডিবিকে সিদ্ধান্ত বলে দিয়েছি।’

একইভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে জরিমানার পরিবর্তে উলটো কেন্দ্রের ভাড়া নিয়েছে বেসরকারি খাতের ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। জানা গেছে, চুক্তি অনুসারে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ১০ শতাংশ সময় নিজেরা বন্ধ রাখতে (আউটেজ) পারে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার মানে ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৮৩৬ ঘণ্টা (৩৬.৫ দিন) বন্ধ রাখতে পারে। এর বাইরে বন্ধ রাখার সময় কেন্দ্র ভাড়া পাবে না; বরং জরিমানা দিতে হবে তাদের। কিন্তু আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হলেও এর হিসাব করছে না বিপিডিবি।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া বিল জমতে থাকায় তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকেন। তাদের দাবির মুখে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সময় হিসাব না করেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে পিডিবি। বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বিপিডিবির বোর্ডে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে নেন তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। পরে সরকার বন্ড ছেড়ে বকেয়ার বেশিরভাগ শোধ করেছে। বর্তমানে বকেয়া অনেক কমে এসেছে। অথচ ওই নিয়মে এখনো সুবিধা পাচ্ছে তেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।

বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য কয়লা এবং ফার্নেস অয়েলসহ জ্বালানি আমদানির নামে বিপুল অঙ্কের টাকা দুর্নীতি করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পিডিবির ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা আন্তর্জাতিক জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে ৩.০৩ বিলিয়নে উন্নীত হয়।

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে করা চুক্তিগুলো পরীক্ষা করার জন্য, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেপ্টেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে হরিলুটের অন্যতম উৎস ছিল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তখন বিনা টেন্ডারে প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে।

আর এ কাজটি করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তৎকালীন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পিডিবি চেয়ারম্যানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ছিলেন মূল হোতা। আর সিন্ডিকেটের গডফাদার হিসাবে কাজ করেছেন পতিত সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও আহমেদ কায়কাউস।

সরাসরি এই সিন্ডিকেটকে সহায়তা করেছেন পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। এই সিন্ডিকেট বিশেষ আইনে, বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের রেন্টাল-কুইক-রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সুবিধা দেয়।

ওই দায়মুক্তি বিধানের অধীনে ৭২টি রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়। বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় অংশই পেয়েছেন তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে সামিট, ওরিয়ন, দেশ এনার্জি, ডরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড অন্যতম। সে সময় বিনা দরপত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্র পাওয়ার শীর্ষে ছিল সামিট গ্রুপ।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা চুক্তিগুলো দুটি কমিটি পর্যালোচনা করছে। কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা কাজ করব। এ বিষয়ে যথাযথ চিন্তা করেই বিপিডিবিকে সিদ্ধান্ত বলে দিয়েছি।’

একইভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে জরিমানার পরিবর্তে উলটো কেন্দ্রের ভাড়া নিয়েছে বেসরকারি খাতের ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। জানা গেছে, চুক্তি অনুসারে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ১০ শতাংশ সময় নিজেরা বন্ধ রাখতে (আউটেজ) পারে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার মানে ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৮৩৬ ঘণ্টা (৩৬.৫ দিন) বন্ধ রাখতে পারে। এর বাইরে বন্ধ রাখার সময় কেন্দ্র ভাড়া পাবে না; বরং জরিমানা দিতে হবে তাদের। কিন্তু আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হলেও এর হিসাব করছে না বিপিডিবি।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া বিল জমতে থাকায় তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকেন। তাদের দাবির মুখে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সময় হিসাব না করেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে পিডিবি। বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বিপিডিবির বোর্ডে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে নেন তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। পরে সরকার বন্ড ছেড়ে বকেয়ার বেশিরভাগ শোধ করেছে। বর্তমানে বকেয়া অনেক কমে এসেছে। অথচ ওই নিয়মে এখনো সুবিধা পাচ্ছে তেলচালিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।

বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য কয়লা এবং ফার্নেস অয়েলসহ জ্বালানি আমদানির নামে বিপুল অঙ্কের টাকা দুর্নীতি করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পিডিবির ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা আন্তর্জাতিক জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে ৩.০৩ বিলিয়নে উন্নীত হয়।

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে করা চুক্তিগুলো পরীক্ষা করার জন্য, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেপ্টেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

এছাড়া ওরিয়ন গ্রুপকে ৪ হাজার ৮৬২ কোটি এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানিকে (কেপিসিএল) ৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কেপিসিএলের ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সামিট গ্রুপের কাছে ও ৩৫ শতাংশ ইউনাইটেড গ্রুপের কাছে। বাকি ৩০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। ফলে খুলনা পাওয়ারের ক্যাপাসিটি চার্জের বড় অংশই গেছে সামিট ও ইউনাইটেডের কাছে।

দেশীয় কোম্পানি হোসাফ গ্রুপ ২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা, মোহাম্মদী গ্রুপ ২ হাজার ৫৪৪ কোটি, ডরিন গ্রুপ ২ হাজার ১৮৩ কোটি ও ম্যাক্স গ্রুপকে ২ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এপিআর এনার্জিকে ২ হাজার ৮৭ কোটি এবং সিঙ্গাপুরের সেম্বকর্পকে ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা, সিকদার গ্রুপ ১ হাজার ৮৪২ কোটি ও কনফিডেন্স গ্রুপকে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইংল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানির এনইপিসি কনসোর্টিয়ামের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে ১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা পেয়েছে।

শ্রীলংকান কোম্পানি লক্ষধনভি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, সিনহা গ্রুপকে ১ হাজার ৩৯১ কোটি, আনলিমা গ্রুপকে ১ হাজার ২৭৪ কোটি, বারাকা গ্রুপকে ১ হাজার ২৪৭ কোটি, রিজেন্ট গ্রুপকে ১ হাজার ৩৭ কোটি এবং এনার্জিপ্যাককে ১ হাজার ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় আরও কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, যাদের ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ের পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকার কম। এছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে গিয়ে গত ৯ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ১৫ কোটি টাকা। দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছর। সে বছর ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল প্রায় ৫০১ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছর আমদানি বাড়ায় ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়ে দাঁড়ায় ৯২২ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছর কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮৪০ কোটি টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছর ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছর বিদ্যুৎ আমদানি কিছুটা বাড়ায় বেড়েছে ক্যাপাসিটি চার্জও। ওই অর্থবছর ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি আরও বৃদ্ধিতে চুক্তি হয়। এতে ক্যাপাসিটি চার্জ এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছর ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছর ১ হাজার ৮০৫ কোটি এবং ২০২১-২২ অর্থবছর ১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছর মিলে আমদানির বিপরীতে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com