বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) যারা ভয় পান না, তাদের কংগ্রেসে নিয়ে আসতে হবে। যারা কংগ্রেসে থেকেও ভয় পাচ্ছেন, তাদের কংগ্রেসে দরকার নেই বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
দলের মধ্যে রাহুল গান্ধীর এই ‘শুদ্ধকরণ’-এর ডাক প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও নতুন করে উস্কে দিল।
শুক্রবার কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের নির্ভীক লোক জন দরকার। এটাই আমাদের মতাদর্শ।’
এরপর দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা আরএসএসকে ভয় পান না। তারা আমাদেরই লোক। তাদের দলের ভেতরে নিয়ে আসতে হবে। আর আমাদের মধ্যে যারা ভয় পাচ্ছেন, তাদের বলে দিতে হবে, যাও ভাই, পালাও, তোমরা আরএসএসের লোক। তোমরা ভোগ করো, যাও, তোমাদের দরকার নেই।
দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে রাহুল বলেন, যারা ভয় পেয়ে গেছে, তারাই আরএসএসে চলে গেছে। ওদের ভয় ছিল, মহল হাতছাড়া হয়ে যাবে। যারা ভয় পাননি, তারা কংগ্রেসে থাকবেন।
সম্প্রতি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বৈঠক হয়েছে। প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করার ‘চ্যালেঞ্জ’ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় গান্ধী পরিবার তাকে কংগ্রেসে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
তবে পিকে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে গুরুদায়িত্ব পেলে তাকে দলের পুরনো নেতারা কতখানি মেনে নেবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তারই মধ্যে রাহুলের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল কি পিকে’র মতো বিজেপিকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে তৈরি ব্যক্তিদেরই দলে টানার দিকে ইঙ্গিত করলেন?
আরএসএসকে ভয় পাওয়ার কথা বলেও রাহুল গান্ধী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো দলত্যাগী নেতাদের সঙ্গে প্রবীণ নেতাদেরও নিশানা করলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কেননা ২০১৯ লোকসভা ভোটে হারের পরেই রাহুল অভিযোগ তুলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি-আরএসএসকে নিশানা করার ক্ষেত্রে তিনি দলের সব নেতাকে পাশে পাননি। মোদিকে ব্যক্তিগত নিশানা করা ঠিক রণকৌশল কি না, তা নিয়েও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে সংশয় ছিল।
এদিকে আবার ‘জি-২৩ গোষ্ঠীর’ বিক্ষুব্ধ নেতা, রাজস্থানে সচিন পাইলট, পাঞ্জাবে নভজ্যোত সিং সিধুর মতো নেতারা দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব চাইছেন। রাহুল জ্যোতিরাদিত্য, জিতিন প্রসাদের মতো কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের নিশানা করার পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদেরও বার্তা দিলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র: আনন্দবাজার।