বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ‘সাকিব হাসলে হাসে বাংলাদেশ’- এমনটাই সর্বজন বিদিত। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না সাকিব।
নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি। শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে না গিয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। সেখানে ৩ ম্যাচ খেলে কেকেআর একাদশে জায়গা হারালেন। সে তিন ম্যাচে ব্যাট থেকে আসল মোটে ৩৮ রান!
এরপর শ্রীলংকারর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৯ রান! রান পাননি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। ৮ ম্যাচে সর্বসাকুল্যে ১২০ রান করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে সফরে একমাত্র টেস্টে সাকিব ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। আর প্রথম ওয়ানডেতে ২৫ বলে ১৯ রান করে আউট হন সাকিব।
প্রশ্ন ওঠে- কী হলো সাকিবের? পারফরম্যান্স নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি সাকিবকে। বিশেষ করে ডিপিএলে মুশফিকের উইকেটটি না পেয়ে স্টাম্পে লাথি মারার কাণ্ডের পর বিশ্বজুড়েই সমালোচিত হয়েছেন সাকিব।
আর সেই মুশফিকই এবার হুঙ্কার ছাড়লেন – সাকিবের বিরুদ্ধে লোকে কথা বলার সাহস পায় কিভাবে?
রোববার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিবের অপরাজিত ৯৬ রানে ভর করেই সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
মিডলঅর্ডারদের ব্যর্থতায় এক পর্যায়ে হারের শঙ্কায় ভুগছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সঙ্গী করে ৫০তম ওভারে জয় ছিনিয়ে আনেন সাকিব।
বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ৯৬ রানের ম্যাচ জেতানো দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা পুরষ্কারও গেছে সাকিবের হাতে।
ম্যাচ জয়ের পর সাকিবের প্রশংসায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
তিনি লিখেছেন, ‘সিরিজ জয়ের জন্য অভিনন্দন আমার ছেলেদের। ফর্ম সাময়িক, জাতটা স্থায়ী। আমি বুঝি না, কয়েক ইনিংস ব্যর্থ হলেই লোকে সাকিবের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখায় কিভাবে? সে একজন কিংবদন্তি এবং চিরদিনই বাংলাদেশের জন্য কিংবদন্তি হয়ে থাকবে।’
‘ওয়েল ডান সাকিব, মাই বয়!’
প্রসঙ্গত, জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্ট ম্যাচটি খেললেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলছেন না মুশফিক। করোনাক্রান্ত বাবা-মায়ের পাশে থাকতে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই দেশে ফেরেন মি. ডিপেন্ডেবল।