ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তের বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহতের ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহত দুই জনের বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে হরিপুর উপজেলার কাঠালডাঙ্গী বিওপি সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন দুই এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই বিওপি এলাকায় একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন-হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মকলেছ (২৮)। এর নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ এবং একই এলাকার বাসেদ আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিপুর কাঠালডাঙ্গী বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার এন্তাজুল হক। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন তারা।
ওসি ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, সোমবার ভোর রাতে একজন ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ নাগর নদীর উপশাখা শিরানী নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাঠালডাঙ্গী বিওপি’র কোম্পানি কমান্ডার এন্তাজুল হক বলেন, ভারত সীমান্তের ভিতরে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে বিএএসএফ। পরে তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ এখনো বিএসএফের কাছে আছে। তবে কারনে বিএসএফ গুলি চালিয়েছে তা এখনো নিশ্চিৎ করতে পারেনি বিজিবি ও পুলিশ।
এদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বারোসাপাড়া্ গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে ইদ্দিশ (৩০) গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার রাত ১০ টায় রত্নাই ক্যাম্পের কমান্ডার হান্নান বলেন, জানতে পেরে ইদ্দিশ নামে ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আমরা তাদের পরিবারে ও বিএসএফ ক্যাম্পে খোঁজ খবর নিয়ে এর সত্যতা আমরা পাইনি।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান জানান, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে দুই বাংলাদেশির নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতে থাকা যুবকের লাশ বিএসএফ দ্রুত ফেরত দেবে।